1. arkobd1@gmail.com : arkobd :
  2. dharmobodi88@gmail.com : স্থবির এম ধর্মবোধি : এম ধর্মবোধি স্থবির

প্রয়োজনীয়ঃ
আপনার প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট,সফটওয়্যার কিংবা মোবাইল এপ তৈরি করতে আজই যোগাযোগ করুনঃ ০১৯০৭৯৮৬৩৬৯ আমরা যেসব সার্ভিস দিয়ে থাকিঃ বিজনেস ওয়েবসাইট,ই-কমার্স ওয়েবসাইট,সোশ্যাল ওয়েবসাইট,অনলাইন নিউজপেপার,বেটিং ওয়েবসাইট,কেনা বেচার ওয়েবসাইট,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ইত্যাদি। আমরা আরো যেসব সেবা দিয়ে থাকিঃ সুপারশপ সফটওয়্যার,ফার্মেসি সফটওয়্যার,ক্লথিং/বুটিক ষ্টোর সফটওয়্যার,একাউন্টিং সফটওয়্যার,HRM ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার,স্কুল/কলেজ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সহ সকল ধরনের মোবাইল এপ তৈরি করে থাকি আপনার বাজেটের মধ্যেই। তো দেরি না করে আজই যোগাযোগ করুন এবং অর্ডার করুন আপনার চাহিদা মত সেবা। ফিউচার টেক বিডি
শিরোনামঃ
স্বাধীনতা পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম জেলায় প্রথম প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ শুরু হলো ঐতিহাসিক বড় উঠানের “বিশ্বমুড়া”য় রোমাঞ্চকর ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ দীপংকর বুদ্ধের সাক্ষাৎ -সুমেধ তাপসে’র- ২য় পর্ব গৌতম বুদ্ধের অতীত জন্ম-সুমেধ তাপস, ১ম পর্ব বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট কমিউনিটি অব নিউইয়র্ক” এর উদ্যেগে বার্ষিক বনভোজন ২০২৩ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেন দিলীপ বড়ুয়া বোধিসত্ত্ব-রুপে সুমেধ তাপস- জ্ঞান অন্বেষণ নিউজ আগুনে পুড়লো বুদ্ধমূর্তিসহ হাজার বছরের পুরনো মন্দির- জ্ঞান অন্বেষণ নিউজ উখিয়া দক্ষিণ মরিচ্যা বেনুবন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত উ সুন্দরা মহাথের পরলোকে উখিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত বৌদ্ধ ভিক্ষু মারা গেছেনঃ পুলিশ কাউকে আটক করেনি

অপ্সরা লাভের আশায় প্রব্রজ্যা গ্রহণকারী অরহৎ নন্দ

  • আপডেটের সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২
  • ১০৬ বার পঠিত

অপ্সরা লাভের আশায় প্রব্রজ্যা গ্রহণকারী অরহৎ নন্দ

জ্ঞান অন্বেষণ নিউজঃ– রাজা শুদ্ধোধন “আমার জ্যেষ্ঠপুত্র সিদ্ধার্থ কুমার রাজকীয় ভােগ সমপদ ত্যাগ করতঃ প্রব্রজ্যা গ্রহণ করিয়া বুদ্ধ হইয়াছেন। দ্বিতীয় পুত্র নন্দ কুমারকে বিবাহ করাইয়া এই রাজত্ব, রাজসম্পদ এবং বংশের উত্তরাধিকারী করিবার লক্ষ্যে উপরাজা হিসেবে অভিসিক্ত করিব।” এই বিষয় চিন্তা করিয়া তিনি নন্দ কুমারের সহিত শাক্যকুমারী। জনপদ কল্যাণীর বৈবাহিক সম্বন্ধ ঠিক করিয়াছেন। এতদুদ্দেশ্যে নন্দ কুমারের গৃহ প্রবেশ মঙ্গল, বিবাহ মঙ্গল, সিংহাসন আরােহণ মঙ্গল, অভিষেক মঙ্গল এবং উপরাজ শ্বেতছত্র ধারণ মঙ্গল প্রভৃতি পঞ্চ মঙ্গলের অনুষ্ঠান আয়ােজন করেন। তথাগত বুদ্ধ কপিলাবস্তু নগরে আগমনের তৃতীয় দিবসে ভিক্ষার্থে রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করিয়া মঙ্গলমন্ডপে আরােহণ পূর্বক তাৎপর্যপূর্ণ মঙ্গল ধর্মদেশনা করার পর কনিষ্ঠভ্রাতা নন্দ কুমারের হাতে পাত্রটি প্রদান করেন।

তথাগত বুদ্ধের প্রদত্ত পাত্রটি গ্রহণ না করা অযৌক্তিক মনে করিয়া নন্দ পাত্রটি গ্রহণ করিলেন এবং বুদ্ধ পাত্রটি ফেরৎ না লওয়ায় নন্দ ভিক্ষাপাত্র হাতে লইয়া বুদ্ধের পশ্চাতে পশ্চাতে গমন করিতে লাগিলেন। নন্দ মনে। করিলেন দ্বারপ্রকোষ্ঠে বুদ্ধ পাত্রটি গ্রহণ করিবেন, কিন্তু দ্বারপ্রকোষ্ঠে বুদ্ধ পাত্রটি গ্রহণ না করায় সােপানের মুখে পাত্রটি গ্রহণ করিবেন বলিয়া নন্দ মনে করিলেন। কিন্তু সােপানের মুখে পৌঁছিয়াও বুদ্ধ পাত্রটি নন্দের হাত হইতে প্রত্যাগ্রহণ করিলেন না। “জ্যেষ্ঠভ্রাতা বুদ্ধ স্মরণ হইলেই পাত্রটি গ্রহণ করিবেন” ভাবিয়া বুদ্ধ সােপানের শেষ প্রান্তে ভিক্ষুসংঘের সহিত বাক্যালাপের সময় পাত্রটি প্রত্যাগ্রহণ, এইভাবে এই স্থানে নিবেন কিংবা ঐ স্থানে বুদ্ধ পাত্রটি ফেরৎ নিবেন চিন্তা করিতে করিতে নন্দ কুমার বুদ্ধের পশ্চাতে পশ্চাতে পাত্র হাতে গমন করিতে লাগিলেন। এইদিকে জনপদকল্যাণী নন্দ কুমার ভিক্ষাপাত্র হাতে বুদ্ধের পশ্চাতে পশ্চাতে গমন করিতেছেন বলিয়া দাসীদের মুখে সংবাদ পাইলেন।

এই সংবাদে জনপদ কল্যাণী অত্যন্ত মর্মাহত হইয়া শরাহত পক্ষীর ন্যায় উঠিয়া বাতায়ন পথে নিরীক্ষণ করিয়া নন্দ যুবরাজকে দর্শন করিয়া “বিলম্ব না করিয়া দ্রুত ফিরিয়া আসিও নারীসুলভ কোমল মায়াময় কণ্ঠে ঝঙ্কৃত ধ্বনি করিলেন। এই মধুর বাক্যটি নন্দ কুমারের হৃদয়ে কামনা বিধূর হইয়া বিধিয়া রহিল। তথাগত বুদ্ধ ভিক্ষাপাত্রটি নন্দের হাত হইতে ফেরৎ না লইয়া তাঁহাকে বিহারে লইয়া গেলেন। বিহারে পৌঁছিলে কনিষ্ঠ ভ্রাতা নন্দকে “ভিক্ষুত্ব গ্রহণ করিবে কি?” বলিয়া নন্দকে জিজ্ঞাসা করিলেন। নন্দও জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বুদ্ধের প্রতি গৌরব বশতঃ অস্বীকার করিতে অক্ষম হইয়া “হ্যাঁ প্রভাে, গ্রহণ করিব” বলিয়া স্বীকৃতি জ্ঞাপন করিলেন। তথাগত বুদ্ধ ধর্মসেনাপতি সারিপুত্রকে আহ্বান করিয়া নন্দ কুমারকে প্রব্রজ্যা দানের নির্দেশ প্রদান করিলেন।

নন্দ কুমার সেইদিন হইতে বুদ্ধের সঙ্গে শ্রাবস্তীতে উপনীত হওয়া কালাবধি উঠিতে বসিতে মুহুর্তে মুহূর্তে শাক্যকুমারী জনপদকল্যাণীর ধ্বনিত বাক্যটি স্মরণ করিয়া উৎকণ্ঠিতভাবে অবস্থান করিতে লাগিলেন। শ্রাবস্তী জেতবন বিহারে অবস্থান করিবার সময় “আমি বুদ্ধের শাসনে রমিত হইতেছি না, প্রব্রজ্যা প্রত্যাহার করিয়া রাজছত্র ধারণ করিয়া রাজা হইব।” এই বলিয়া সহবিহারী ভিক্ষুসংঘের নিকট ব্যক্ত করিতে লাগিলেন। সহবিহারী ভিক্ষুসংঘও এই বিষয়ে বুদ্ধকে অবহিত করিলেন। বুদ্ধ কনিষ্ঠভ্রাতা নন্দকে এই বিষয় জিজ্ঞাসা করিলেন- নন্দও সত্যতা স্বীকার করিলেন।

নন্দের স্বীকৃতি শ্রবণ করিলে বুদ্ধ প্রশ্ন করিলেন “কেন বুদ্ধের ধর্মে রমিত হইতেছ না?” তদুত্তরে নন্দ বলিলেন, “প্রভাে, তথাগত আপনার সহিত রাজপ্রাসাদ হইতে নিষ্ক্রান্ত হইয়া আসার পথে দ্বিতল প্রাসাদ হইতে শাককুমারী জনপদকল্যাণী বাতায়ন পথে অশ্রুসিক্ত নয়নে করুণ কণ্ঠে আমাকে বিলম্ব না করিয়া দ্রুত ফিরিবার জন্য বলিয়াছিল- না জানি আমার অবর্তমানে এখন সে কি রকম বিরহ যন্ত্রণা ভােগ করিতেছে, তাহার এবম্বিধ মানসিক যন্ত্রণা স্মরণ করিয়া আমার চিত্ত ধর্মে রমিত হইতেছে না, তাহাকে সান্ত্বনা দিবার জন্য শ্ৰমণ ধর্ম ত্যাগ করিতে বদ্ধ পরিকর হইয়াছি।” নন্দের এই খেদোক্তি শ্রবণ করিয়া তথাগত বুদ্ধ বলিলেন, “লেহের নন্দ, তাহা হইলে তােমার সঙ্গে আমার একটু। ভ্রমণে বাহিরে যাইতে হইবে। এস আমার সঙ্গে।” বলিয়া শাস্তা নন্দকে লইয়া বিহার হইতে নিষ্ক্রান্ত হইলেন। বুদ্ধ নন্দকে লইয়া অরণ্য পথে অনেক দূর যাইবার পর এক স্থানে অগ্নিদগ্ধ অরণ্যখন্ডে উপনীত হইলেন। সেখানে অর্ধদগ্ধ একটি বৃক্ষ গুঁড়ির উপর লােমচর্ম, বৃদ্ধ, নাক-কান এক কুৎসিৎ বানরী দেখা গেল। এই কুৎসিৎ বানরীকে দেখাইয়া বুদ্ধ নন্দকে প্রশ্ন করিলেন “নন্দ বলত ইহা কি?” উত্তরে নন্দ ইহা একটি বানরী বলিলেন।

বুদ্ধ পুনর্বার। প্রশ্ন করিলেন, “বলত নন্দ এই বৃদ্ধা বানরী আর শাক্যকুমারী জনপদকল্যাণী কে অধিক সুন্দরী?” তৎশ্রবণে নন্দ অত্যন্ত দুঃখীত হইয়া বুদ্ধকে বলিলেন, “হে মহাজ্ঞানী তথাগত বুদ্ধ, রাজনন্দিনী জনপদকল্যাণীর সঙ্গে কাহারাে কি তুলনা করা চলে? আপনি আমার মনে প্রচন্ড আঘাত দিবার প্রত্যাশায় আমাকে এরূপ প্রশ্ন করিতেছেন- নহে কি?” তদুত্তরে বুদ্ধ বলিলেন, “তুমি আমার কনিষ্ঠ ভ্রাতা, তােমার মনের দুঃখ কোথায় তাহা জানার নিমিত্ত এবং মনের সৌন্দর্য বােধ পরীক্ষাচ্ছলে এইভাবে প্রশ্ন করিতেছি, ইহাতে তােমার দুঃখ করার কি আছে? ইহা বলিয়া বুদ্ধ নন্দকে লইয়া অতিদ্রুত তুষিত দেবলােকে উপনীত হইলেন। তাঁহারা দেবলােকের অভিনব পুষিপত কুঞ্জ সারিতে।

বিশােভিত রাজপথের বিতানে আবির্ভূত হইলে দেবরাজ সপ্তরত্ন বিখচিত মনােরম দেবরথে অভিনব সৌন্দর্য্যের আভায় ঝলমল পাঁচ শত পরমা সুন্দরী দেবধীতা পরিবেষ্টিত হইয়া তাঁহাদের সম্মুখে আগমন করিলেন। তাহা দেখিয়া বুদ্ধ নন্দকে মধুর স্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন- “হে নন্দ, এই দেবাঙ্গনাদিগকে তােমার কেমন মনে হইতেছে?” উত্তরে নন্দ বলিলেন, প্রভাে তথাগত, এই দেবধীতাগণ সত্যই অতুলনীয় অত্যন্ত মনােমুগ্ধকর।” তখন বুদ্ধ নন্দকে। পুনর্বার প্রশ্ন করিলেন, “শাককুমারী জনপদকল্যাণী এবং এই দেবধীতাগণের মধ্যে কে অধিক সুন্দরী?” তদুত্তরে নন্দ সানন্দে উক্তি করিলেন, “প্রভাে, পূর্বে অরণ্য পথে অগ্নিদ্বগ্ধ স্থানে অর্ধদ্বগ্ধ গাছের উদ্রিতে নাক-কান কাটা বৃদ্ধা কুৎসিৎ বানরীর সহিত শাককুমারী জনপদকল্যাণীর মধ্যে যেই পার্থক্য, এই দেবধীতাগণের সহিত শাক্যকুমারী জনপদকল্যাণীর মধ্যেও সেই পার্থক্য। অর্থাৎ জনপদকল্যাণীর তুলনায় বৃদ্ধা কুৎসিৎ বানরী যে রকম- অমনােজ্ঞ, ঠিক সেই রকম এই দেবধীতাগণের তুলনায়ও জনপদকল্যাণী সেই রকম অমনােজ্ঞ এবং কুৎসিৎ তা শ্রবণে বুদ্ধ নন্দকে প্রশ্ন করিলেন, “হে লেহের কনিষ্ঠ ভ্রাতা নন্দ, তুমি এই দেবাঙ্গনা পাইতে ইচ্ছা কর কি?” নন্দ আনন্দিত। হইয়া বলিলেন, “প্রভাে অবশ্যই আমি কামনা করি।” তখন তথাগত বুদ্ধ বলিলেন, “হে লেহের কনিষ্ঠ ভ্রাতা নন্দ, তাহা হইলে তােমার পরম একাগ্রতার সহিত শ্রমণ ধর্ম আচরণ করিতে হইবে। আর দেবধীতা পাইবার জন্য আমিই প্রতিভু রহিলাম, দেবধীতা আমি তােমাকে দিব।” নন্দকে আশ্বস্ত করিয়া, তাহাকে লইয়া বুদ্ধ দেবলােক হইতে শ্রাবস্তীর জেতবনে প্রত্যাবর্তন করিলেন।

বুদ্ধ ত্রিলক্ষণযুক্ত ধর্মদেশনা করিয়া নন্দকে কর্মস্থান প্রদান করিলেন। ইহাতে নন্দ দেবধীতা প্রাপ্তির আশায় দিবারাত্র অবিশ্রান্ত ভাবে ভাবনায় মনােনিবেশ করিলেন। কনিষ্ঠ ভ্রাতা নন্দকে দেবধীতা লাভের জন্য বুদ্ধ উপদেশ ও কর্মস্থান দিয়াছেন এবং নন্দও দেবধীতা লাভের প্রত্যাশায় পরমানন্দে শ্রমণ ধর্ম আচরণে ব্রতী হইয়াছেন, এই উপদেশ দ্বারা দেবধীতা ক্রয় করা যায়- ওহাে ইহা বড়ই আশ্চর্যজনক ব্যাপার বটে”- ইহা বলিয়া ভিক্ষুসংঘ হাস্য পরিহাস এবং নিন্দা ও সমালােচনা করিতে লাগিলেন। নন্দ ও কনিষ্ঠ ভিক্ষুগণের কথায় লজ্জিত হইলেন। গােপনে কর্মস্থান যথাযথ মনােযােগ সহকারে ভাবনা করিতে লাগিলেন। এইভাবে ভাবনা করায় অচিরে অরহত্ত্ব ফলে প্রতিষ্ঠিত হইলেন।

তখন একজন দেবপুত্র বুদ্ধের নিকট আগমন করিয়া বুদ্ধকে বন্দনা করিয়া বলিলেন, “প্রভাে, আপনার কনিষ্ঠ ভ্রাতা নন্দ কুমার চারিআসব হইতে মুক্ত হইয়া অরহত্ত্ব প্রাপ্ত হইয়াছেন এবং ব্রহ্মান্ডের চরম স্থান দর্শন করিয়াছেন।” তখন সেই দিন রাত্রিকালে নন্দ ও বুদ্ধের শ্রীচরণে নিবেদন করিয়া বলিলেন, “প্রভাে, তথাগত আমার আর দেবধীতার প্রয়ােজন নাই। এই জীবন সীমাহীন দুঃখে পরিপূর্ণ- এই অনন্ত দুঃখ হইতে মুক্ত হইয়া পরমানন্দ। লাভের জন্য আপনার নির্দেশিত কর্মস্থান ভাবনা করিয়াছি- এখন একমাত্র আপনার প্রদর্শিত পথই পরিষ্কারভাবে দর্শন করিতেছি। সংসারের শেষ প্রান্তে উপনীত হইয়াছি।” এই কথা বলিয়া এবং বুদ্ধের সর্বজ্ঞতা জ্ঞানকে প্রশংসা করিয়া উক্তি করিলেন।

তথাগত বুদ্ধ “তাহা হইলে তােমাকে দেবধীতা দিবার জন্য যে প্রতিশ্রুতি আমি দিয়াছি তাহা হইতে মুক্ত হইলাম।” বলিয়া নিতে উদান গাথা ভাষণ করিলেনঃ

“য কামপঞ্চো তিন্নো কামকনকো মদ্দিতােমােহখযং অনুপ্পতে সুখ দুখে সােন বেধতি…..। ইহার অর্থ হইল- যে ভিক্ষু কামরূপ পঞ্চ হইতে উত্তীর্ণ হইয়াছেন ও কামরূপ কাটক মর্দিত করিয়াছেন, যাবতীয় মােহ অন্ধকার ধ্বংস করিয়া নির্বাণে যথাক্রমে উপনীত হইয়াছেন- সেই ভিক্ষু সুখে-দুঃখে বিকমিপত হয় না।

নন্দ কুমার অরহত্ত্ব প্রাপ্ত হইলে দুই-তিন দিবস পর ভিক্ষুসংঘ নন্দকে এরূপ প্রশ্ন করিলেন- “পূর্বে আপনার আচরণ সমপূর্ণই বুদ্ধের দেশিত ধর্মের বিপরীত, এখন তাহা অন্যরকম বােধ হইতেছে।” তদুত্তরে নন্দ বলিলেন- “প্রিয়। ভিক্ষুসংঘ, পূর্বে আমার আচরিত সাধারণ মানুষের আচরণ হইতে এখন আমি মুক্ত হইয়াছি।” ভিক্ষুসংঘ নন্দের কথিত বিষয়ে সমপূর্ণ বিশ্বাস করিতে সক্ষম হইল না- বুদ্ধের সমীপে গিয়া বুদ্ধের চরণ বন্দনা করিয়া নিবেদন করিলেন “প্রভাে নন্দকি সাধারণ মানুষের আচরণ হইতে মুক্ত হইয়াছে?”

তদুত্তরে বুদ্ধ বলিলেন, “হে প্রিয় ভিক্ষুসংঘ, নন্দের পূর্বে আচরিত আচরণ সমূহ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন এবং ছিদ্রযুক্ত ছাদ। বিশিষ্ট ভগ্ন ও দুর্বল গৃহের ন্যায় হইয়াছে, দশবিধ ক্লেশ নামক প্রবল বৃষ্টি-বাদল ও ঝঞ্ঝা তাহার আচরণ রূপ গৃহকে ভেদ করিতে পারিবে না।” বলিয়া নিক্তে গাথা ভাষণ করিলেনঃ

যথাগারং দুচ্ছন্ন কটুঠি, সমতি বিজ্ঞতি,

এবং অভাবিতং চিত্তং রাগাে সমতি বিজ্ঞাতি।

ভগ্ন ও ছিন্ন বিচ্ছিন্ন বিরাশাচ্ছন্ন গৃহে যেই ভাবে বৃষ্টি ও ঝঞা ব্যাথা সহজে ভেদ করিতে সমর্থ হয়, তদ্রুপ অভাবিত | চিত্তে রাগাদি অনুশয় অতি সহজে ভেদ করিতে সক্ষম হয়। যথাগারং সুচ্ছন্নং কঠিন সমতি বিজ্ঞতি

এবং সুভাবিতং চিত্তং বাগাে ন সমতি বিজ্ঞতি। উত্তমভাবে আচ্ছাদিত গৃহে যেমন বৃষ্টি সহজে ভেদ করিতে পারে না তদ্রুপ সুভাবিত চিত্তকে রাগাদি অনুশয় সহজে ভেদ করিতে পারে না।

বুদ্ধ এই ধর্মদেশনার ফলে বহু ভিক্ষু ও উপাসক-উপাসিকা মার্গ ফলাদি প্রাপ্ত হইলেন। জগতের সকল প্রানী সূখী হওক।

এই খবরটি সোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস

সর্বমোট

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
সূত্র: আইইডিসিআর

সর্বশেষ

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
স্পন্সর: একতা হোস্ট
জ্ঞানঅন্বেষণ কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত © ২০২২
Developed By: Future Tech BD