বিদর্শন নিরোধ গামিনী পটিপদাও গঠন করে
আর্য মার্গ সকল প্রকার সংষ্কার নিরোধে মুখ্য ভূমিকা নেয় বিধায় ইহাকে দুঃখ নিরোধ গামিনী পটিপদা আর্যসত্য”’ এ সম্পূর্ণ শিরোনামে জানা যায়। কিন্তু বিদর্শন মার্গ ব্যতীত যেখানে গেলে সকল দুঃখের অবসান হয় সে নির্বাণ ইহা নিজের দ্বারা লাভ হতে পারে না। যোগীর পূর্ব কৃত পারমী অনুসারে কেবল অনেকবার, অনেকঘন্টা, অনেকদিন, অনেক মাস ও অনেক বছর বিদর্শন ভাবনা অনুশীলনের পরে ভাবনা প্রসূত ফল থেকে আর্য মার্গ উৎপন্ন হয়। ইহা বিদর্শন মার্গ থেকে আপনাতেই প্রকট হয়।
ইহা এ জন্য যে, বিদর্শন মার্গকে বলা হয় পূর্বভাগ মার্গ, অর্থাৎ আর্য মার্গের পূর্ববর্তী যা অবশ্যই লক্ষ্য রূপে দেখা উচিত। যদিও পথ তখন দু’ভাগে বিভক্ত রূপে দেখা হয়-পূর্বগামী এবং চরম লক্ষ্য ইহার উন্নতি আসে যোগীর সর্বক্ষণ প্রচেষ্টার প্রক্রিয়া রূপে। সুতরাং ”’সম্মোহবিনোদিনী”’ নামক অর্থকথায় বলা হয়েছে যে, বিদর্শন মার্গকে অবশ্যই দেখতে হবে নিরোধ গামিনী পটিপদা সম্পন্নের মৌলিক অংশ রূপে।”’উক্ত অষ্ট মার্গ সমূহ হলো লোকাত্তর আর্য মার্গের সাথে অষ্ট মৌলিক অঙ্গ”’। এ আর্যমার্গ লৌকিক বিদর্শন মার্গের সাথে একত্রে দুঃখ নিরোধ গামিনী পটিপদারূপে গণ্য করা হয়।
যদিও চারি আর্যসত্যের মার্গ সত্য লোকাত্তর মার্গ ইহার এখানে অর্থ হল ইহা নিজে থেকে অর্থাৎ বিদর্শন মার্গ বা পূর্বভাগে মার্গ ছাড়া উৎপন্ন হতে পারে না। কেবল মাত্র বিদর্শন মার্গ উন্নয়নের পরে এবং যখন বিদর্শন জ্ঞান সম্পূর্ণরূপে পরিপূর্ণ হয়, তখনই আর্যমার্গ উৎপন্ন হয়। সে কারণে আর্য মার্গ পূর্বভাগ বিদর্শন মার্গের সাথে একত্রে প্রারম্ভিক পদক্ষেপ রূপে যা প্রোন্নতি করতে হয় ইহাকে বলা হয় দুঃখ নিরোধ গামিনী পটিপদা আর্য সত্য।
আমাদের সংক্ষেপে বলতে হয়ঃ
১) মূল,পূর্ব, আর্য এদের তিনটি আর্য পথ।
২) পরিপূর্ণতায় সোজা নির্বাণে উপনীত হয়।
Leave a Reply