বৌদ্ধরা কেন সকল প্রাণীর উদ্দেশ্যে পুণ্য বিতরণ করেন কখন থেকে এটি শুরু হয়েছিল
এক সময় ভগবান বুদ্ধ যখন শ্রাবস্তী নগরে জেতবন বিহারে অবস্থান করিতেছেন তখন তাবতিংস স্বর্গে চারটি প্রশ্ন নিয়ে দেবগণের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয় এবং এই চারটি প্রশ্ন নিয়ে দেবরাজ চক্ক( ইন্দ্র) তথাগত সমীপে উপস্থিত হয়ে প্রার্থনা করে বললেন।
ভগবান
১.দানের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দান কি?
২.রসের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ রস কি?
৩.আনন্দের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ আনন্দ কি?
৪.এবং তৃষ্ণা নিরোধকে কেন সবচেয়ে উত্তম এবং পরম সুখ বলা হয়?
দেবরাজ চক্ক
১. দানের মধ্যে যতগুলো দান আছে ধর্ম দান হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ দান.
২.রসের মধ্যে যতগুলো রস আছে ধর্ম রস হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ রস.
৩.আনন্দের মধ্যে যতগুলো আনন্দ আছে ধর্মানন্দ হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ আনন্দ.
৪.উওম এবং সূখের মধ্যে তৃষ্ণা নিরোধই ( সর্ব পাপ বিনাস অরহও ফল) সর্বোত্তম এবং পরম সুখ(নির্বাণ).
(পালি)
ধম্ম দনাং সব্বাই দনাং জিনাতী
সব্ব রসং ধম্ম রসং জিনাতী
সব্বরাতিম্ ধম্মররাতি জিনিতী
তন্হাকায়ো সব্ব দূক্কাম্ জিনাতী
ধর্ম দেশনা শেষান্তে দেবরাজ ইন্দ্র তথাগত ভগবানকে কহিলেন যদি ধর্ম দান ,রস, আনন্দ, তৃষ্ণা ক্ষয় এত সর্বশ্রেষ্ঠ তাহলে আমরা এই পূণ্য ফলকে সকল প্রাণীকে বিতরণ করি না কেন?
দেবরাজ ইন্দ্র ভগবানের কাছে প্রার্থনা করিলেন!
হে ভগবান আজকে থেকে যতগুলো কুশল কর্ম সম্পাদন করা হয় সেই কুশল ধর্ম আমাদেরকে এবং সকল প্রাণীর উদ্দেশ্যে পূণ্য বিতরণ করুন।
ভগবান বুদ্ধ শিষ্য সংঘকে ডেকে বললেন হে ভিক্ষুগন আজ থেকে তোমরা যতগুলো পূণ্য সঞ্চয় করেছ এবং করবে সেই সকল পূণ্য ৩১ লোকভূমিতে যত প্রাণী আছেন সকল প্রাণীর উদ্দেশ্যে পুণ্য দান করুন।
দেবরাজ ইন্দ্র পূণ্য অনুমোদন করে সাধুবাদ প্রদান করিলেন
তখন থেকে শুরু হয় সকল প্রাণির হিতের জন্য পুণ্যদান।
Leave a Reply