বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আ’লোচিত অ’ভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। বিশেষ ব্যবস্থায় ভা’রতে তার শ্বশুর বাড়ি গিয়ে কলকাতার একটি পূজা মণ্ডপে মহাষ্টমীর দিন আ’দালত অবমাননার অ’ভিযোগ উঠেছে চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং তার স্ত্রী’ অ’ভিনেত্রী রাফায়েত রশিদ মিথিলার বি’রুদ্ধে।
এতে আইনি বেড়াজালে পড়তে পারেন আ’লোচিত এ দম্পতি। এ সময় তার সঙ্গে স্বামীসহ ছিলেন আরেক অ’ভিনেত্রী ও তৃণমূল সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান এবং তার স্বামী।
এবারের পূজামণ্ডপে ‘প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত’ তথা ‘নো এন্ট্রি জোনে’ প্রবেশ সর্বসাধারণের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্বয়ং পশ্চিমবঙ্গের আ’দালতই এই নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই নো এন্ট্রি জোনে প্রবেশে আ’দালত অবমাননার অ’ভিযোগ উঠেছে চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং তার স্ত্রী’ অ’ভিনেত্রী রাফায়েত রশিদ মিথিলার বি’রুদ্ধে। এতে আইনি বেড়াজালে পড়তে পারেন আ’লোচিত এ দম্পতি।
একই দায়ে অ’ভিযু’ক্ত কলকাতার আরেক অ’ভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান এবং সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র। গতকাল সকালে নিউ আলিপুরের সুরুচি সংঘের পূজায় অঞ্জলি দিতে যান নুসরাত, সৃজিত, মিথিলা। ছিলেন নুসরাতের স্বামী নিখিল জৈনও। ওই পূজাটি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বা’সের পূজা বলেই পরিচিত।
প্রতিবারই সেখানে বিভিন্ন তারকারা যান অঞ্জলি দিতে এবং ঢাকের তা’লে নাচেন। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি আলাদা। করো’না কারণে কলকাতার হাই’কোর্ট সমস্ত পূজামণ্ডপ ‘দর্শকশূন্য’ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বলা হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা এবং পূজার উদ্যোক্তা ছাড়া কেউ ‘নো এন্ট্রি জোনে’ ঢুকতে পারবেন না। তাদের সংখ্যাও বেঁধে দেয়া হয়েছিল। অর্থাৎ, ‘বহিরাগত দর্শকদের’ প্রবেশ নিষিদ্ধ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সৃজিত-মিথিলারা অঞ্জলি দিয়েছেন হাই’কোর্ট নির্ধারিত মণ্ডপের ‘নো এন্ট্রি জোনে’। সেখান থেকেই জন্ম হয়েছে বিতর্কের। কারণ, কলকাতা হাই’কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন, মণ্ডপের চারদিকে ব্যারিকেড করে তৈরি করতে হবে ‘নো এন্ট্রি জোন’।
সেই ‘নিষিদ্ধ’ এলাকায় পূজার উপাচারের প্রয়োজনে উদ্যোক্তাদের তরফে আ’দালতের ঠিক করে দেয়া সংখ্যার কয়েকজন ঢুকতে পারবেন বলে নির্দেশ দিয়েছিল আ’দালত।
Leave a Reply