প্রতিবেদক- এম ধর্মবোধি স্থবিরঃ– করোনা মহামারিতে ইতোমধ্যে বিশ্বের মত বাংলাদেশেও সংকট সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন ৪০-৫০ জন মানুষ মারা যাচ্ছে। দিনের পর দিন মৃত্যুর মিছিল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে মৃতদেহ সৎকারে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শবদেহ ঘিরে চাঞ্চল্যকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। করোনা উপসর্গ আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে আই সি ইউ এবং অক্সিজেন এর অভাবে মারা যাচ্ছে।
অবহেলায় অপদস্থ হতে হচ্ছে করোনা আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের। বিশ্বময় এক করুন, সংকটাপন্ন ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, মানবতা ভুলে ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে কিছু অমানবিক মানুষ।
কোভিট -১৯ নামক বিশ্ব মহামারী এই ভাইরাস একক কোন দেশ বা সম্প্রদায়ের জন্য নয় কিংবা কোন ব্যক্তিবিশেষের জন্যও নয়। যেকোন সময় যে কোন অবস্থায় আপনিও আক্রান্ত হতে পারেন এই আত্মঘাতী ব্যাধিতে। সুতরাং মানবিক হোন মানব কল্যানে।
করোনাকালীন সময়ে নিজ ইচ্ছায় অনেকে এগিয়ে এসেছেন মানবতায় ও মানবকল্যানে, তাদের মধ্যে অন্যতম ঐতিহাসিক পুণ্যতীর্থ আবদুল্লাপুর শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারের ধর্মপ্রাণ উপাসক, দানশীল ব্যক্তিত্ব বর্তমান আমেরিকায় অবস্থানরত, সমাজহিতৈষী, বাবু স্বপন বড়ুয়া ও তৎসহধর্মিনী পুণ্যশীলা উপাসিকা রুমা বড়ুয়ার একমাত্র পুত্র সন্তান তরুণ সমাজ সেবক বাবু প্রসেনজিৎ বড়ুয়া ও পুত্রবধূ রুম্পা বড়ুয়া।
করোনা ভাইরাস ও শ্বাসকষ্টজনিত কোন রোগী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত বিশেষ প্রয়োজনে অক্সিজেন ব্যবহার উন্মুক্ত থাকবে। এম ধর্মবোধি স্থবির মহোদয়ের তত্ত্বাবধানে বিহারে অক্সিজেন সিলিন্ডার রক্ষিত থাকবে।
বাবু প্রসেনজিৎ বড়ুয়া ও উপাসিকা রুম্পা বড়ুয়ার বড় মেয়ে প্রশমিতা বড়ুয়ার শুভ জন্মদিন উপলক্ষে এবং পিতা ও মাতার সুস্থ আরোগ্য ধর্মময় জীবন কামনায় ঐতিহাসিক পুণ্যতীর্থ আবদুল্লাপুর শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ এম ধর্মবোধি স্থবির ভান্তের অনুপ্রেরনায় আবদুল্লাপুর গ্রামে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোন রোগি শ্বাসকষ্টে মারা না যায় সেই চিন্তা থেকে বাবু প্রসেনজিৎ বড়ুয়া অক্সিজেন সিলিন্ডার ও অন্য অন্য অক্সিজেন সীলিন্ডার সামগ্রী দান করেন। অক্সিজেন সীলিন্ডার ২ টি, অক্সিমিটার ২টি, এন ৯৫ মাক্স ২ টি, স্প্রে বোতল-২টি, সার্জিক্লেল মাক্স ৩ বক্স, সার্জিক্লেল কেপ ১ বক্স, চসমা ২টি, এক্সট্রা অক্সিজেন মাক্স ২টি,অক্সিমিটার বেটারি ৪ পিস, ব্লিসিং পাউডার ১ কেজি উত্তম চিত্তে দান করেন।
বাবু প্রসেনজিৎ বড়ুয়া করোনা ভাইরাসের কারনে লক ডাউন সময় কালীন বেশ কয়টি বিহারে ভিক্ষু সংঘের চতুরপ্রত্যায় বাবদ শ্রদ্ধাদান প্রদান করেন এবং গরীব কর্মহীন জ্ঞাতীগনের খবরাখবর নিয়ে তাদের সাবিক সহযোগিতা করেন। এই ভাবে ধনীব্যক্তিগন স্ব স্ব গ্রামে এগিয়ে এসে মানবতার উদার চিন্তার প্রতিফলন ফলাতে সবার প্রতি আর্বান করছি।
Leave a Reply