1. arkobd1@gmail.com : arkobd :
  2. dharmobodi88@gmail.com : স্থবির এম ধর্মবোধি : এম ধর্মবোধি স্থবির

প্রয়োজনীয়ঃ
আপনার প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট,সফটওয়্যার কিংবা মোবাইল এপ তৈরি করতে আজই যোগাযোগ করুনঃ ০১৯০৭৯৮৬৩৬৯ আমরা যেসব সার্ভিস দিয়ে থাকিঃ বিজনেস ওয়েবসাইট,ই-কমার্স ওয়েবসাইট,সোশ্যাল ওয়েবসাইট,অনলাইন নিউজপেপার,বেটিং ওয়েবসাইট,কেনা বেচার ওয়েবসাইট,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ইত্যাদি। আমরা আরো যেসব সেবা দিয়ে থাকিঃ সুপারশপ সফটওয়্যার,ফার্মেসি সফটওয়্যার,ক্লথিং/বুটিক ষ্টোর সফটওয়্যার,একাউন্টিং সফটওয়্যার,HRM ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার,স্কুল/কলেজ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সহ সকল ধরনের মোবাইল এপ তৈরি করে থাকি আপনার বাজেটের মধ্যেই। তো দেরি না করে আজই যোগাযোগ করুন এবং অর্ডার করুন আপনার চাহিদা মত সেবা। ফিউচার টেক বিডি
শিরোনামঃ
স্বাধীনতা পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম জেলায় প্রথম প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ শুরু হলো ঐতিহাসিক বড় উঠানের “বিশ্বমুড়া”য় রোমাঞ্চকর ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ দীপংকর বুদ্ধের সাক্ষাৎ -সুমেধ তাপসে’র- ২য় পর্ব গৌতম বুদ্ধের অতীত জন্ম-সুমেধ তাপস, ১ম পর্ব বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট কমিউনিটি অব নিউইয়র্ক” এর উদ্যেগে বার্ষিক বনভোজন ২০২৩ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেন দিলীপ বড়ুয়া বোধিসত্ত্ব-রুপে সুমেধ তাপস- জ্ঞান অন্বেষণ নিউজ আগুনে পুড়লো বুদ্ধমূর্তিসহ হাজার বছরের পুরনো মন্দির- জ্ঞান অন্বেষণ নিউজ উখিয়া দক্ষিণ মরিচ্যা বেনুবন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত উ সুন্দরা মহাথের পরলোকে উখিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত বৌদ্ধ ভিক্ষু মারা গেছেনঃ পুলিশ কাউকে আটক করেনি

অভিধর্মের কিছু মৌলিক নিয়ম

  • আপডেটের সময়ঃ শুক্রবার, ২২ মে, ২০২০
  • ৮৩৭ বার পঠিত

অভিধর্মের কিছু মৌলিক নিয়ম
মৃত্যু ও পুনর্জন্মে কর্মের ভূমিকাকে নিয়ন্ত্রণকারী এই সুগভীর নিয়মকে নিয়ে আলোচনার আগে প্রথমে আমাদের অভিধর্মের কিছু মূল ধ্যান-ধারণার সাথে পরিচিত হওয়া উচিত। এই অভিধর্ম হচ্ছে থেরবাদী বুদ্ধধর্মের ত্রিপিটকের তৃতীয় পিটক যা মূলত মন, বস্তু এবং তাদের মধ্যকার আনত্মঃসম্পর্কীয় প্রক্রিয়াগুলোর একটি বিশ্লেষণ, যা বুদ্ধের শিক্ষার উপর ভিত্তি করে দর্শন, মনস্তত্ববিদ্যা এবং ধর্মনীতির সমন্বয়ে একটি অনন্যসাধারণ কাজে রূপ নিয়েছে।

মনোজগত
অভিধর্ম মতে, মন হচ্ছে একটি ক্রমাগত প্রবাহ যা আসলে বিচ্ছিন্ন কিছু সংজ্ঞামূলক ঘটনার অবিচ্ছিন্ন ও অবিরাম ধারা। এই বিচ্ছিন্ন সংজ্ঞামূলক ঘটনাগুলোর এক একটিকে বলা হয় চিত্ত। চিত্ত হচ্ছে একটি জটিল একক, যার মধ্যে চেতনা নিজেই আছে, অর্থাৎ কোনো বস্তু সম্পর্কে যে সচেতনতা, সেটি বাদেও একগাদা মানসিক উপাদান, যাদেরকে বলা হয় চৈতসিক, বিষয়বস্তুকে চেনার কাজে তাদের প্রত্যেকেরই আরো বিশেষ কিছু কাজ আছে। এখানে এক গস্নাস রঙিন পানির উপমা দেওয়া যায়: গস্নাসের মধ্যে রঙিন পানিকে একটি চিত্তের সাথে, বিশুদ্ধ পানিকে সচেতনতার সাথে, এবং পানির বিভিন্ন রংকে বিভিন্ন মানসিক উপাদানের সাথে তুলনা করা যায়। প্রত্যেকটি চিত্ত এক একটি আলাদা সচেতন ঘটনা, যার নিজস্ব সচেতনতার বিষয়বস্তু রয়েছে; তবে দেখার পরে সকল বিষয়বস্তুকেই যে স্মরণ করতে পারা যাবে, তেমনটি কিন্তু নয়। উদাহরণস্বরূপ, অনেক স্বপ্নই স্মরণ করা যায় না এবং সচেতন অবস্থায়ও যা কিছু করা হয়েছে বা বলা হয়েছে তার অনেক কিছুই স্মৃতি থেকে উদ্ধার করা যায় না। অনেক ধরনের চিত্ত রয়েছে, প্রত্যেকটি চিত্তই নৈতিকতার গুণে, কার্যকলাপে এবং চৈতসিকগুলোর অদ্ভূত সমাহার নিয়ে বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে। এই বইয়ের উদ্দেশ্যের কথা মাথায় রেখে আমাদের কেবল এটা জানলেই হবে যে চিত্তগুলোকে কর্মিক বা জবন চিত্ত, বিপাক বা ফল চিত্ত এবং ক্রিয়া বা কার্যকরী চিত্ত হিসেবে ভাগ করা যায়।

কর্মিক চিত্তগুলো হচ্ছে সেই চিত্তগুলো, যাদের কর্মিক সক্ষমতা রয়েছে। এগুলো কুশল অথবা অকুশল প্রকৃতির হতে পারে। এ ধরনের চিত্তগুলোর মধ্যে চেতনা চৈতসিকটাই হচ্ছে কর্ম। যদিও কোনো চিত্তের উৎপত্তি ও বিলয়ের সাথে সাথেই সেই চিত্তের চেতনারও উৎপত্তি ও বিলয় ঘটে, কিন্তু সেই চেতনা যে কর্মশক্তি সৃষ্টি করলো, তা কিন্তু ফল না দেওয়া পর্যন্ত, অথবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিষ্ফলা না হওয়া পর্যন্ত ফুরিয়ে যায় না।

ফল চিত্তগুলো হচ্ছে কর্মিক চিত্তগুলোর ফলাফল। সেগুলোর কোনো কর্ম উৎপাদনের সক্ষমতা নেই।

ক্রিয়া চিত্তগুলো কর্মিক চিত্তগুলোর ফলাফলও নয়, আবার তাদের কোনো কর্ম উৎপাদনের সক্ষমতাও নেই।

অভিধর্মে যে সময়ের মাপকাঠি ব্যবহার করা হয় তার ভিত্তি হচ্ছে চিত্তক্ষণ। এটি হচ্ছে একটি চিত্তের আয়ুষ্কাল, যা এতই ক্ষণিকের যে, অর্থকথাবিদদের মতে, বিদ্যুৎ চমকানি অথবা এক চোখের পলক ফেলতে যে সময় লাগে তার মধ্যেই শত কোটি চিত্তক্ষণ পরপর অতিবাহিত হয়ে যায়। প্রত্যেক চিত্তক্ষণের আবার তিনটি ক্ষণ আছে: উৎপত্তি, স্থিতি ও বিলয় ক্ষণ। এক চিত্তক্ষণের মাঝে একটি চিত্ত উৎপন্ন হয়, এর ক্ষণিকের কাজটুকু সেরে ফেলে এবং এরপরে বিলুপ্ত হয়ে যায়, যার পরপরই আরেকটি চিত্তের উৎপত্তি ঘটে। এভাবে চিত্তক্ষণের ধারাবাহিকতায়, চেতনা প্রবাহ পানির ধারার মতো অবিচ্ছিন্নভাবে বয়ে চলে।

জীবনের প্রত্যেক মুহুর্তে যখন সক্রিয়ভাবে কোনো বিষয়বস্তু সম্বন্ধে জ্ঞাত হওয়া বা সচেতন হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে না, তখন সেই চেতনা প্রবাহকে অবিচ্ছিন্ন রাখতে একটি বিশেষ ফল চিত্ত প্রত্যেক মুহুর্তে উৎপন্ন ও বিলুপ্ত হয়ে যায়, যে চিত্তকে বলা হয় ভবাঙ্গ। এ ধরনের চিত্ত সবচেয়ে বেশি স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয় গভীর ঘুমের সময়ে, যখন কোনো স্বপ্ন দেখা যায় না, তখন। তবে জেগে থাকা অবস্থায়ও ক্ষণে ক্ষণে এই চিত্ত উৎপন্ন হয় এবং সচেতন হয়ে কোনো বিষয়বস্তু সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার সময়েও অসংখ্যবার এই চিত্ত উৎপন্ন হয়ে আবার বিলীন হয়ে যায়। এখানে ভব মানে হচ্ছে জীবন, আর অঙ্গ মানে হচ্ছে উপাদান বা অংশ; তাই ভবাঙ্গকে মাঝে মাঝে জীবন-প্রবাহ, অথবা অবচেতনতা হিসেবে লেখা হয়, কারণ স্বাভাবিক অবস্থায় এর সচেতনতার বিষয়বস্তু সম্পর্কে স্মরণ করা যায় না, এটি এতই সুক্ষ্ম।

কোনো এক জীবনের প্রথম চিত্তকে বলা হয় পুনর্জন্মদায়ী চিত্ত বা প্রতিসন্ধি চিত্ত, আর জীবনের সর্বশেষ চিত্তকে বলা হয় মরণ চিত্ত। এই দুটো চিত্ত ভবাঙ্গের মতোই একই ধরনের ফল চিত্ত এবং এই তিনটি চিত্তেরই সচেতনতার বিষয়বস্তু বা আলম্বন হচ্ছে একই। পুনর্জন্মদায়ী চিত্তে যদি অলোভ, অদ্বেষ বা অহিংসা এবং অমোহ বা জ্ঞান বিদ্যমান থাকে, তখন সেটি হচ্ছে ত্রিহেতুক। আর সেই চিত্তে যদি কেবল অলোভ এবং অমোহ থাকে, তখন সেটি হচ্ছে দ্বিহেতুক। যদি সেখানে অলোভ, অদ্বেষ, অমোহ- এই তিন কুশল মূলের কোনোটাই থাকে না, তখন সেটি হচ্ছে অহেতুক। কেবল ত্রিহেতুক পুনর্জন্মদায়ী চিত্ত নিয়ে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিই ধ্যান, নির্বাণের পথ বা মার্গ এবং সেই নির্বাণগামী পথে চলার ফল লাভ করতে পারে।

এই খবরটি সোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস

সর্বমোট

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
সূত্র: আইইডিসিআর

সর্বশেষ

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
স্পন্সর: একতা হোস্ট
জ্ঞানঅন্বেষণ কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত © ২০২২
Developed By: Future Tech BD