সন্তানের সাথে বাবা-মায়ের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ
কর্মফল খুবই ভয়ংকর হয়, সন্তানের জন্য মা বাবা কিছু করেছে নাকি কিছু করে নি সেইটি ভাববার আগে যদি একটুখানি ভাবি আমাকে দশমাস দশদিন গর্ভধারন করেছে মা, ২-৩ কেজি চাউল বাজার করে ১০ মিনিট হেটে ঘরে আসা আমাদের কাছে কষ্টকর মনে হয়। আর মা ১০ মাস ১০দিন (দিন+রাত) একজন সন্তানকে গর্ভধারণ করে কি যুদ্ধরথ কষ্ট করেছেন একটু করেই ভাবলে হয়। এরপর সন্তানকে মানুষ করতে বিশ্বযুদ্ধ করার মত কষ্ট করতে হয়। পৃথিবীতে শুধু মাত্র এক জন বাবাই জানেন সন্তানকে মানুষ করার জন্য, বড় করার জন্য কত অমানুষিক ত্যাগস্বীকার করতে হয়।
দিবারাত্রি নিজের দেহের রক্তকে ঘামের মত পানি করে সন্তানের রক্তবর্ধন করে, সন্তানের দেহে পুষ্টিসাধন করে। বাবা নিজের জীবনটাকে করে নেন কঠিন, অগ্নিধারল্য যুদ্ধে একটাই আশা-বড় হবে সন্তান, মানুষ হবে সন্তান, দুঃখ দূর করবে সন্তান আর যখন সন্তান বড় হয় তখন বেশিভাগ সন্তান হন মা ও বাবা’র চিন্তনের একদম বিপরীত। অবশ্য এর একমাত্র কারন বিনয় শিক্ষা ও সু-শিক্ষার অভাব।
এর থেকে পরিত্রাণের এক মাত্র পথ হচ্ছে প্রথমে মাতা পিতাকে বিনয় শিক্ষা অর্জন করতে হবে, সুন্দর ব্যবহারের অধিকারী হতে হবে, সন্তানকে সু-বিনয়, সু-শিক্ষা দেওয়ার জন্য কর্মপন্থা বা কর্মকৌশল অর্জন করতে হবে। পরিবার বা পারিবারিক পরিস্থিতি সুন্দর রাখতে হবে, সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি বিহারে ধর্মীয় পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
পরিবারের সুখ- শান্তি রক্ষায় আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। তাই শিশুকে শিশু না ভেবে একজন পরিপূর্ণ মানুষ গণ্য করে আলোচনায় তাকেও অংশ করে নিন। তাকে বলার সুযোগ দিন এবং শিশুর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এর মধ্য দিয়ে আপনার সন্তনটিও বুঝবে যে সে পরিবারের একজন সদস্য এবং ওর মতামতেরও মূল্য আছে। এতে শিশুর দায়িত্ববোধ এবং অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাও বাড়বে।
সমাজে আড্ডাবাজ, মদখোর, তাসখোর, খারাপ মানুষ, মিথ্যাবাদি, প্রতারক, চোর এক কথায় মনুষ্যত্ব জ্ঞানহীন মানব থেকে সন্তানকে আলাদা করতে হবে। মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন করে তুলতে হবে সন্তানকে, প্রজ্ঞা-জ্ঞান বা সম্যক জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তির সঙ্গ দিতে হবে, তবেই সন্তান উপযুক্ত জ্ঞান-সম্ভার অর্জনের মধ্যেদিয়ে সু-শিক্ষায় মা ও বাবাকে শ্রদ্ধা করবে, সম্মান করবে, গ্রাম তথা সমাজের মানুষকে যথার্থ গুরুত্বসম্পন্ন আত্নমর্যদায় প্রতিষ্ঠিত করবে। জাতি ধর্মের কল্যান সাধন করবে। সবার জীবন সুন্দর হোক, সবাই আলোকিত জীবন ধারন করুক, জগতের সকল প্রাণি সুখি হোক, বিশ্ব করোনা মুক্তি হোক।
Leave a Reply