দুঃসময়ে ব্যক্তিবিদ্বেষ/দন্ধে বিরোধিতা না করে সহযোগীতা করুন।
গত ৩ মে ভোর রাতে ৩.৩০ এর সময় লোহাগাড়া উপজেলার বিবিবিলা শান্তি বিহারে একটা তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে শতাব্দিকাল থেকে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্পীতিকে বিনষ্ট করতে এবং সরকার কে বেকায়দায় ফেলতে কয়েকজন উগ্রসাম্প্রদায়িক ব্যক্তির নেতৃত্বে প্রথমে স্থানীয় থানা পুলিশের দুইজন এস.আই সহ দুইগাড়ি থানা পুলিশের উপস্থিতিতে মিছিল সহকারে সরকারের বিরুদ্ধে,বৌদ্ধজাতি ও ধর্মের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে নানা অকথ্য ভাষায় স্লোগান এবং শেষে সশস্ত্র হামলা করে বিহারে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়।
ঘটনার পর স্থানীয় থানা কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির নির্দেশে মামলা নিতে গড়িমসি করলেও স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম-বড়ুয়া বৌদ্ধদের কিছু সম্মিলিত পদক্ষেপে উপরের চাপ আসায় পরবর্তীতে মামলা নিতে বাধ্য হয়।
ঘটনার পরবর্তী ০৬মে পবিত্র বুদ্ধপূর্ণিমার দিন বিকাল ৫.৩০-৬.০০টায় স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম গ্রামের বড়ুয়া বৌদ্ধদের সাথে একাত্ম হয়ে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে যোগদান তথা সহযোগীতার মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের জোড় দাবী জানায় যা নিঃসন্দেহে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ।
এই দুঃসময়ে অনেক ব্যক্তি বা সংগঠন নানাভাবে সহযোগীতা করেছেন। যার মধ্যদিয়ে স্থানীয় বৌদ্ধরা কিছু হলেও ভরসা লাভ করেছে। এটা যেমন সত্য ঠিক আবার তার উল্টো কিছু ব্যক্তির অনাহুত পরশ্রীকাতরতা কারণে বিরোধিতা আমাদের ব্যতিত করেছে।
একদিকে আমরা যখন ঘটনার সাথে জড়িতে ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির বিধানে তৎপর হয়ে সরকার প্রশাসন তথা উপরের মহলের কাছে বিষয়টি অবহিত করণ তথা চাপ তৈরী করছি তখন কিছু বৌদ্ধ নামধারী ব্যক্তি পরশ্রীকাতরতায় ঘটনার অাদ্যপান্থ কিছু না জেনে বিষয়টাকে ভিন্নভাবে যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপন করছে যা সত্যিই এই দুঃসময়ে ভরসার বিপরীতে ব্যতিত করছে।
যেকোন গ্রামে,যেকোন ব্যক্তি বিশেষের সাথে উক্তগ্রাম বা ভিন্ন গ্রামের লোকের সাথে ব্যক্তি বিশেষে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক,ব্যবসায়িক, ক্ষমতাকেন্দ্রিক বা ভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য বা আদর্শগত অমিল থাকতে পারে। কিন্তু ব্যক্তির সাথে বিরোধ বা অপছন্দের কারণে এই সময়ে এসে ঘটনাকে সম্পূর্ন বিপরীত ভাবে ব্যাখ্যা করাটা কতটুকু যৌক্তিক? তাহলে কি শুধুমাত্র ব্যক্তি বিশেষের প্রতি বিদ্বেষের কারণে আপনি বা আপনারা উগ্রসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিদের দ্বারা ধর্মীয় প্রতিষ্টানে সংগঠিত হামলাকে প্রশয় দিবেন? এটা কি অদুর ভাবিষ্যতে অন্য আরেকটি ধর্মীয় প্রতিষ্টানে কিংবা অন্যকোন গ্রামে সাম্প্রদায়িক ঘটনার সৃষ্টি করবে না? বর্তমানে যে ঘটনার সম্মূখীন হয়েছি তার কারণে স্থানীয় বৌদ্ধদের মধ্যে একপ্রকার আতঙ্ক ও ভয় বিরাজ করছে।এই সময় সবার উচিত ঘটনার যাতে সুষ্ট তদন্ত হয় এবং যারা উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করা যায় সে বিষয়ে সহযোগীতা করা উচিত।
কারণ প্রতিটা ঘটনার পর পরবর্তী বিচারেরর ধরন,অপরাধীদের শাস্তি,নানা পদক্ষেপ কিন্তু পরবর্তী আরেকটি ঘটনার সৃষ্টিতে কিছু না কিছু ইঙ্গিত বহন করে।তাই ভবিষ্যতে যাতে উগ্রসাম্প্রদায়িক চেতনা লালনকারী কোন ব্যক্তি যাতে ধর্মীয় প্রতিষ্টানে আঘাত আনকে না পারে সেজন্য এধরনে ঘটনার যাতে দ্রুত বিচার হয় তার ব্যবস্থা করতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহযোগীতা করা উচিত।
Leave a Reply