বাংলাদেশে এখন সর্বাধুনিক কিডনি চিকিৎসা মিলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে : বিএসএমএমইউ-তে । সেখানে অতি অল্প খরচে সম্পূর্ণ চিকিৎসা মিলছে কিডনি রোগ ও কিডনি প্রতিস্থাপনের।
বাংলাদেশের মিডিয়ার একদেশদর্শিতার কারণে ভাল খবর ভুক্তভোগীরা পাচ্ছে না। এর কারণ করপোরেট কালচার।
অতি খরচের বিজ্ঞাপণ মিডিয়ায় সুলভ হলেও নাম মাত্র খরচে সরকারি বা বিএসএমএমইউএ হাসপাতালের ব্যাপক রোগী সেবার খবর আসছে না। এর কারণ বিএসএমএমইউ-র বিজ্ঞাপণ দিয়ে জানানোর সুযোগ নেই।
সূত্র জানায়, বিশাল ভারতবর্ষে বেসরকারি পর্যায়ে এ ধরনের চিকিৎসায় ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে । একই ভাবে সরকারি বা অল ইন্ডিয়া ইনিস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সে ( এআইআইএমএস) খরচ বিএসএমএমইউর মতই অনেক কম। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া তার পূর্বসূরী অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের ধারাবাহিকতায় কিডনি সহ নানা রোগের চিকিৎসা অল্প খরচে নিশ্চিত করছেন।
আমাদের শরীরের তলপেটের বিপরীত দিকে ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যরে মুষ্টি আকৃতির দুটি কিডনি থাকে। কিডনি, হার্ট, ফুসফুস, মস্তিষ্ক, লিভার প্রভৃতি অঙ্গের কাজের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। কিডনির সব চেয়ে ক্ষুদ্র অংশ হল নেফ্রোন।
প্রতিটি কিডনিতে প্রায় ১০ লাখ নেফ্রোন থাকে যার প্রতিটিই রক্ত পরিশোধনের ক্ষুদ্র ছাঁকুনি হিসেবে কাজ করে। শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় পদার্থ বের করে দেয়া, রক্ত পরিশোধন, পানি ও খনিজ লবণের ভারসাম্য রক্ষা, হরমোন উৎপাদন, এসিড এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কিডনির প্রধান কাজ।
আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, কিডনির সর্বোচ্চ শতকরা ৯০ ভাগ সঠিকভাবে কাজ না করলেও একজন মানুষ তেমন বড় কোনো সমস্যা ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারে; তবে এ সংখ্যা সবার ক্ষেত্রে একই রকম নাও হতে পারে।
Leave a Reply