জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের কারণেই ‘৭১ এর পরাজিত শক্তি, পাকিস্থানের দোসর, দেশের শত্রুরা হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর সুযোগ্য চেয়ারম্যান ও মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক শাইখুল হাদিস আল্লামা আহমদ শফী বিরোধিতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আলেম মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও ইকরা বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন।
তিনি বলেন, ‘একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একশ্রেণির নামধারী ও লেবাসধারী কিছু মানুষ ধর্মের নাম ব্যবহার করে আমাদের নিরীহ বাঙালি জনগণের ওপর গুলি চালিয়েছে, ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে নির্মমভাবে, শুধু তা-ই নয় আমাদের মা বোনদের উপরে তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। হত্যা খুন ধর্ষণ করতেও তারা দ্বিধা করেনি। অথচ আজ সেই পাকিস্থানিদের দোসর জামায়াতে ইসলামীর প্রতি টান থেকে তারা আমাদের সবার নয়নমণি হুজুর আহমদ শফীর বিরুদ্ধাচরণ করছে।’
সোমবার দুপুরে এক বিবৃতিতে সদরুদ্দীন মাকনুন এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের ৪৭ বছর পরও সেসব চাক্রান্তকারীরা সজাগ ও তৎপর রয়েছে দাবি করে মাওলানা মাকনুন বলেন, ‘একাত্তরের পরাজিত শক্তিকে এ দেশের আলেম উলামা আর মাথা উঁচু করে বড় গলায় কথা বলতে দেবে না। ধর্মের নাম ব্যবহার করে আর কোনো দিন খুন ধর্ষণ করতে দেয়া হবে না। ইসলামকে মানুষ ভালোবাসে বলেই দুস্কৃতিকারীরা ধর্মাশ্রয়ী হয়। এদেরকে চিহ্নিত করা সময়ের দাবি।’
যারা আল্লামা আহমদ শফীর বিরোধিতা করছে তারা ‘নাবালক’ মানুষের কাতারেই রয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রজন্ম ফোরামের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আল্লামা আহমদ শফী বাংলাদেশের আলেমকুলের রত্ন। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি তাদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারছে না বলে তাদের ঘেউ ঘেউ বেড়ে গেছে। এ দেশের মানুষ জানে সত্যটা কী? মধুলোভীরা সামনে নির্বাচন বলেই এভাবে মিথ্যাচার শুরু করেছে।’
মাকনুন বলেন, ‘আমরা আকাবিরদের দেখানো সত্যসুন্দর পথে থাকতে চাই। শরিক হতে চাই আকাবিরদের মিছিলে। আদর্শহীন প্রজন্ম থেকে আমরা আল্লাহর কাছে পানাহ চাই।’
Leave a Reply