পদ্মা, মেঘনা আর সমুদ্রের ইলিশ, প্রজাতিতে এক হলেও জীনবিন্যাসে আলাদা। এ কথা বলছেন, মৎস্য সম্পদ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়ার্ল্ডফিসের গবেষকরা। জানান, পদ্মায় জন্ম নেয়া ইলিশ কখনো মেঘনায় যায় না। মেঘনা ও ভোলার কুশিয়ারার ইলিশও কখনো পদ্মায় যায় না। একে ইলিশ ব্যবস্থাপনায় নতুন মেরুকরণ মনে করছে, মৎস্য অধিদপ্তর।
জাতীয় মাছ ইলিশ। রূপালী রঙের এ সুস্বাদু মাছ, বংশ বিস্তারের জন্য গভীর সমুদ্র থেকে ১২শ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে আসে দেশের নদীগুলোতে। আর এসেই নদী ভেদে পাল্টে যায় স্বাদ, যা এখনও রহস্য।
এ রহস্য ভেদ করতে বহুদিন ধরেই চলছে গবেষণা। সম্প্রতি চমকপ্রদ খবর দিলেন দেশেরই একদল বিজ্ঞানী। ও মৎস্য অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্বদ্যিালয় ও ওয়ার্ল্ডফিসের এই দলটি পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কুশিয়ারা ও সমুদ্রের ইলিশের আংশিক জিনবিন্যাস বিশ্লেষণ করেন। তাদের গবেষণা বলছে, দেশের নদীগুলোতে পাওয়া সব ইলিশ একই প্রজাতির হলেও, নদীভেদে পাল্টে গেছে জিনগত গঠন। তাই পদ্মায় জন্ম নেওয়া ইলিশ, সমুদ্রঘুরে ফের ডিম দিতে আসে পদ্মায়। একইভাবে অন্যান্য নদীর ইলিশও, আবারও ফেরে সেখানেই।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, নদীভেদে পানি ও অণুজীবের ধরন ভিন্নহওয়ায়, অভিযোজন প্রক্রিয়ায় বদলে গেছে ইলিশের জীনগত বৈশিষ্ট্যও। এ কারণেই স্বাদও হয় আলাদা। এই গবেষণা ইলিশ ব্যবস্থাপনায় নতুন মেরুকরণ বলে মনে করছেন মৎস্য সম্পদ অধিদপ্তররের শীর্ষ এই কর্মকর্তা। গেল বছর দেশে মোট ইলিশের উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ মেট্রিকটন, যা বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৬০ ভাগ।
Leave a Reply